রাশেদ জামান লোহাগড়া (নড়াইল)।।
নড়াইলের লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার ১৪টি ইটভাটার বিরুদ্ধে একদিনে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৪টির মধ্যে ১০টি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কাঁচা ইট ধংস করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি জিগজ্যাগ ভাটাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ড্রাম চিমনির ওই ইটভাটাগুলো হলো লোহাগড়া উপজেলার আলাউদ্দিন মুন্সীর মেসার্স মধুমতী ব্রিকস, আনিচুর রহমানের মেসার্স চিত্রা ব্রিকস, আবুল হাসানের মেসার্স সুরমা ব্রিকস ও মুক্তি কাজীর মেসার্স এমকেএইচকে ব্রিকস এবং কালিয়া উপজেলার সাদ্দাম খানের মেসার্স খান ব্রিকস, জসিম উদ্দিনের এমকেবি ব্রিকস, ইয়াছিন মোল্লার মেসার্স স্টার ব্রিকস ব্রিকস, লিটন মোল্লার মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকস, লিটন শেখের এলবিএম ব্রিকস ও কামরুল ইসলামের আরএনটি ব্রিকস।
এ ছাড়া কালিয়া উপজেলার চারটি জিগজ্যাগ ভাটার মধ্যে আমিরুল ইসলামের এআর ব্রিকসকে তিন লাখ টাকা, আতাউর রহমানের মেসার্স আল আরাফাত ব্রিকস ও শামীম আহমেদের মেসার্স নিউ এসএমবি ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা করে ও রিকাইল শেখের মেসার্স সুপার ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার, পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার ও সহকারী পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। এ সময় তাদের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি’র সদস্যরাও উপস্থিত ছিল।
পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় ওইগুলো ভাঙা হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো পর্যায়ক্রমে ভেঙে দেওয়া হবে। এদিকে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।